প্রেমিকার আবদার মেটাতে মায়ের সঙ্গে অপহরণের নাটক সাজান তামিম মিয়া (১৯) নামের এক যুবক। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওই তরুণ ও প্রেমিকাকে উদ্ধারের পর কাউন্সিলিং করার পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তামিম উপজেলার গোবরিয়া-আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মো. মাইন উদ্দিনের ছেলে।
তামিমের মা মোছা. আফিয়া খাতুনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাঁচ দিন আগে গাজীপুরের একেটি জুতার কারখানায় কাজ করার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা নেন তামিম। এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরদিন রাতে অচেনা একটা নাম্বার থেকে তামিমের মায়ের কাছে কল আসে আর তাকে অপহরণের কথা জানানো হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ফোনের ওই পাশ থেকে মেয়ে কণ্ঠে কেউ একজন জানান, যদি ছেলেকে জীবিত ফেরত চান, তবে দ্রুত এক লাখ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে হবে। কোনো উপায় না পেয়ে ঘটনার দুদিন পর কুলিয়ারচর থানায় আসেন ওই তরুণের মা। পরে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে তামিমকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, ওই তরুণের বোন প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী বোনের ভাতার টাকাতেই পরিবারটি মূলত চলতো। আবাদি সম্পত্তি বন্ধক রেখে ২০টাকা জোগাড় করে দিয়েছিল ওই তরুণের মা। উদ্ধারের পর অপহরণের ঘটনাটি স্বীকার করেন তামিম। তিনি জানান, প্রেমিকার আবদার মেটাতেই দু’জনে মিলে মায়ের সঙ্গে এই অপহরণ নাটক সাজিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, অপহরণের অভিযোগ পাওয়ায় তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তামিমকে উদ্ধারে নামে পুলিশ। তবে মায়ের অভিযোগের সঙ্গে অপহরণের ঘটনার অমিল পেলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে তামিমকে উদ্ধার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের নাটকের কথা স্বীকার করে তামিম। এ ঘটনায় তামিম ও তার প্রেমিকাকে কাউন্সিলিং করার পর পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।